ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভের প্রান্তে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। একের পর এক পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে ইউক্রেন।

এমতাবস্থায় নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। নির্দেশনায় তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী দেশটির পুরুষ নাগরিকরা।

নির্দেশিকায় জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষরা ইউক্রেনের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না। এই নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এই তথ্য এখন থেকেই মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।”

তবে এই পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না তা নিয়ে এখনই কিছু পরিষ্কার করেনি ইউক্রেন সরকার।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন- প্রথম দিনের রুশ হামলায় সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ দেশটির ১৩৭ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৩১৬ জন।

রাশিয়া প্রথম দিনের অভিযান শেষে জানিয়েছিল, ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিনে তারা সফল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই তারা সব লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউক্রেনের স্থলভাগে মোট ৮৩টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করেছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোট ২০৩টি সামরিক আঘাত হেনেছে পুতিনের দেশ।

ইউক্রেন সেনাবাহিনীর দাবি, খারকিভের কাছে রাশিয়ার চারটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে তারাও। লুহানস্ক অঞ্চলে নিহত হয়েছেন ৫০ জন রুশ সেনা। ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। যদিও এই তথ্য অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

সূত্র: সিএনএন